হোলির সময়ে মহারাষ্ট্রে রত্নাগিরির মসজিদে আসলে কী হয়েছিল?
হোলির সময়ে মহারাষ্ট্রে রত্নাগিরির মসজিদে আসলে কী হয়েছিল?
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রঙের উৎসব হোলিকে কেন্দ্র করে ভারতে যে কয়েকটি সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা হয়েছে, তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে একটি মসজিদের বাইরের ভিডিওটি নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে সব থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
বিবিসির সংবাদদাতা রত্নাগিরিতে গিয়ে জানতে পেরেছেন, মসজিদের ফটকে গাছের গুঁড়ি দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে বলে যে ভিডিও ছড়িয়েছে, সেটা আসলে বহু যুগ ধরে চলে আসা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা প্রথা।
হোলি উৎসবের অঙ্গ হিসাবেই আগের রাতে একটা গাছের গুঁড়ি নিয়ে গিয়ে জ্বালানো হয় এবং শহরের মসজিদের সামনে দিয়ে হিন্দুদের সেই মিছিল যাওয়ার সময়ে তারা মসজিদের সামনে ওই গাছের গুঁড়িটি রাখেন।আরও পড়ুনঃ জুলাই আন্দোলনে মাস্টারমাইন্ডদের মাস্টারমাইন্ড পর্দার পিছনের এক নারী!
মুসলমানদের সঙ্গে কথা বলে আবার তারা এগিয়ে যান বলে বিবিসির সংবাদদাতা ময়ূরেশ কন্নুর জানতে পেরেছেন।
তবে পুলিশ এটা স্বীকার করেছে যে গত ১২ই মার্চ ওই মসজিদের সামনে যখন গাছের গুঁড়িটি রাখা হয়, তখন কয়েকজন যুবকের টানাহেঁচড়া হয়েছিল। এই দৃশ্যই ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে মসজিদের ফটক ভাঙ্গার চেষ্টা হচ্ছে বলে।
মহারাষ্ট্রের ঘটনা ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের গিরিডি এবং পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমেও সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়েছে হোলি বা দোল যাত্রার দিনে। ঝাড়খণ্ডের পুলিশ বলছে জুম্মার নামাজ চলাকালীন সেখান দিয়ে হোলির একটি মিছিল যাওয়ার সময় হিন্দু আর মুসলমানদের মধ্যে অশান্তি বাঁধে। পুলিশ ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় নাগরিক পার্টির ২১৭ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সাঁইথিয়া অঞ্চলে অনেকটা একই ভাবে জুম্মার নামাজের সময়ে হিন্দু আর মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সময় কয়েকজন আঘাত পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রগুলি থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার, তবে সোমবার তা আবার চালু করে দেওয়া হয়েছে।
Comments
Post a Comment