দেশেকে অস্থিতিশীল করতে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর অপতৎপরতা
দেশেকে অস্থিতিশীল করতে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর অপতৎপরতা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর একপ্রকার ভেঙে গেছে বাংলাদেশের ওপর নরেন্দ্র মোদির সরকার কিংবা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং) এর আধিপত্য। কিন্তু থেমে নেই তাদের ষড়যন্ত্র। অভিযোগ উঠেছে, নিজেদের আধিপত্যকে শক্তিশালী করতে গোপনে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে তারা।বাংলাদেশকে অস্থীতিশীল করতে নানা আন্দোলন সাজিয়ে পরিস্থিতি উসকে দিচ্ছে ‘র’। এমনকি চলছে গোপন কিলিং মিশনে নামার পরিকল্পনাও। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের দিয়েছেন চাঞ্চল্যকর এক ফেসবুক পোস্ট, যেখানে তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থায় নিজেদের দুরভিসন্ধি পরিকল্পনা নিয়ে প্রবেশ করেছেন এমন অনেকে, যারা চাইছেন না দেশে সাধারণ নির্বাচন হোক বা রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসুক।জুলকারনাইন সায়েরের অভিযোগ, এই চক্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অস্থীতিশীল করতে চাইছে। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে। নির্বাচন না হলে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন আর তার পদের দিকে চেয়ে আছেন অনেকেই।’
জুলকারনাইন সায়রের দাবি, উপদেষ্টা, সচিব, সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা সব মিলিয়ে মূল ইনসাইডার সংখ্যা ৯ জন। তবে ফেসবুক পোস্টে তাদের কারো নাম প্রকাশ করেননি তিনিজুলকারনাইন সায়রের দাবি, উপদেষ্টা, সচিব, সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা সব মিলিয়ে মূল ইনসাইডার সংখ্যা ৯ জন। তবে ফেসবুক পোস্টে তাদের কারো নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
সম্প্রতি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মাঠে নেমেছে গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। অভিযোগ রয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এই মঞ্চ গড়ে উঠেছিল ‘র’ এর তত্ত্বাবধানে, যদিও এর পুনরুত্থান ঠেকিয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, এভাবে বিভিন্ন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে থাকা ভারতীয় এজেন্টরা দেশকে অস্থীতিশীল করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ‘র’ এদেশে সিক্রেট মিশন চালাতে পারে, রয়েছে সেই উড়ো খবরও। যদিও গ্রহণযোগ্য কোন সূত্রএর আগে জানুয়ারিতে জুলকারনাইন সায়ের বাংলাদেশে ‘র’ এজেন্টদের তৎপরতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেকটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, ভারতের ‘র’ এর দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় আসেন, যাদের উদ্দেশ্য ছিল ডিজিএফআই ও এনএসআই এর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।
আলজাজিরার সাংবাদিক সায়ের গত ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেন, ‘র’ এর আরেকটি দল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, এই এজেন্টরাই দেশে কিলিং মিশন চালাতে পারে। চলতি মাসে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, ভারতে আওয়ামী লীগের প্রায় ৪৫ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিজেপি সরকার রাজনীতি করছে বলেও দাবি করা হয় পোস্টে। থেকে এখনও সে ধরনের কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।।
Comments
Post a Comment